ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৮ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিশ্বনেতাদের ‘শান্তির আহ্বান’ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৩৩, ৭ মে ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কাশ্মীরে গত মাসে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার জেরে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামক সামরিক অভিযান চালিয়েছে ভারত। ৬ মে রাতের এই হামলায় শিশুসহ ৮ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান, যদিও ভারত দাবি করেছে এতে ৭০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। পাকিস্তান এ হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ উল্লেখ করে পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

এই ঘটনায় দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে যুদ্ধাবস্থা তৈরির আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা একে একে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ কেউ ভারতের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করলেও, বেশিরভাগই সামরিক সংযম ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

‘এটা খুবই লজ্জাজনক। আমি মাত্রই ঘটনা সম্পর্কে শুনলাম। অতীতে যা ঘটেছে, তা থেকেই অনেকে বুঝতে পেরেছিল এমন কিছু ঘটতে পারে। তারা বহু বছর, বরং বহু দশক ধরে লড়াই করে আসছে। আমি আশা করি, এই সংঘাত খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও

‘আমি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতো আমিও আশা করি, এই সংঘাত দ্রুত শেষ হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে দুই দেশের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

তিনি আরও জানান, তিনি ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং উভয় পক্ষকে যোগাযোগের মাধ্যম খোলা রাখতে ও উত্তেজনা এড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘ভারতের সেনা অভিযান আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করেছে—এ নিয়ে মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি উভয় দেশের প্রতি সর্বোচ্চ ধৈর্য দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি বিশ্ব আর বহন করতে পারবে না।’

জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি

‘২২ এপ্রিল কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন—এই পরিস্থিতি যদি পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলায় রূপ নেয়, তাহলে তা পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘাতে পরিণত হতে পারে। আমরা ভারত ও পাকিস্তান উভয়কে ধৈর্য দেখানোর এবং সংলাপের মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানাই।’

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

চীনের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, ‘ভারতের সামরিক অভিযান দুঃখজনক। আমরা চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে উভয় দেশকে শান্ত থাকতে, সংযম দেখাতে এবং উত্তেজনা বাড়ায় এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাঁ-নোয়েল বারো

‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান আমরা বুঝি। তবে একইসঙ্গে আমরা ভারত ও পাকিস্তান উভয়কে আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা সংযম প্রদর্শন করে এবং বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।’

সংযুক্ত আরব আমিরাত

আমিরাতের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেন, ‘আমরা দুই দেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—তারা যেন এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয় যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। সঙ্কট মোকাবিলায় কূটনীতি ও সংলাপই সবচেয়ে কার্যকর উপায়।’

ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজার

‘ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে আমরা সমর্থন করি। নিরপরাধদের বিরুদ্ধে যারা অপরাধ করেছে, তাদের লুকানোর কোনো জায়গা নেই।’

আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, এআইএমআইএম নেতা (ভারত)

‘এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল যথার্থ পদক্ষেপ। আমি ভারতীয় বাহিনীর এই অভিযানের স্বাগত জানাই।’

মল্লিকার্জুন খার্গে, কংগ্রেস সভাপতি

‘এই সময়ের প্রধান প্রয়োজন হলো জাতীয় ঐক্য ও সংহতি। আমরা এই অভিযানে ভারতের পাশে আছি।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ

‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কাপুরুষোচিত। পাকিস্তান এর উপযুক্ত এবং কঠোর জবাব দেবে।’


এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি